মনে হল এই দেওয়ালেতো আমরা এক সাথে থাকতে পারতাম, ছবি হয়ে। পর মুহুর্তেই মনে হল এই ঝুপড়ি ঘরের স্যাঁত স্যাঁতে দেওয়ালে ঝোলানো তোমার মলিন হাসির ছবি।
এরথেকে তো এই ভাল যা হয়েছে। তোমার রাজ দরবারের মত বিশাল ড্রইংরুমে পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকি। তোমার বাবুর্চির বানানো চা, খানসামা তিনতালা এক ট্রলির ওপর চাপিয়ে এনে দিয়ে যায়। আমি সেই চায়ে শব্দ করে চুমুক দিতে দিতে দেওয়ালে টাঙ্গানো তোমার ছবির দিকে দেখি। তোমার হাসি কলেজের দিন গুলোর থেকে আরো বড় হয়েছে, আরো বড়।
এক ছাপোষা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হওয়ায় ছোট বেলা থেকেই হিসেবে আমি বেশ পটু। কি করে বাজার খরচের চার আনা, আট আনা এদিক সেদিক করে দুটাকা দামের একটা আস্ত বিড়ি ফোঁকা যায় তা আমার ভালই জানা। সেদিনের সন্ধ্যায় আমি আমার সক্ষমতা অক্ষমতার হিসেব করে ফেললাম। বুঝে ফেললাম আমার দমে আমাদের বেশী দিন এক সাথে থাকা হবে না। কিন্তু তোমাকেও হারাতে চাই না। তাই সেদিন সম্পর্কের নাম বদলে ফেললাম।
হয়ত আমি লোভী, স্বার্থপর... তোমাকে আটকে ফেললাম তাই...
অথবা আমি মহান... তোমাকে আরো ভালো কোন জায়গায় দেখতে চেয়েছিলাম তাই...
হয়তো তোমার আলনায়
থাকবে না আমার জামা।
ঝুলবে না তোমার বারান্দায়
আমার পাঞ্জাবী পাজামা
তবু মনের জানালায়
অবাধ আনাগোনা..
দু'জনা!!
- নভেম্বর ১৯, ২০২১
No comments:
Post a Comment