যতবেশী বেঁচে থাকার কারন খুঁজি, ততই হতাশ হই। এই রোগ, শোকের মধ্যদিয়ে পথ তৈরী করে পথচলা। বুড়িয়ে যাওয়া ভবিষ্যতের চিন্তায় মেপে ঝেপে খাওয়া আর কয়েক ফোঁটা দৌড় ঝাপ। সব কিছুই না হয় হল, কিন্তু এই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পারপাসটা কি? ছাপোষা কেরানী জীবন?? অন্যের প্রেমিকাকে নিজের করে পাওয়া? ডিম ফুটিয়ে তাতে বসে তা দেয়া এবং অনাগত ভবিষ্যতের জন্য হাহুতাশ করতে করতে মৃত্যুর দিনগোনা?
চোখ বন্ধ করি। দেখতে পাই ছোট খাটো একটা চাকরি করছি যাতে দুপুরের আগেই ছুটি। তুমি আর আমি কোন ছাদের চিলে কোঠায় টিনের একটা ঘর ভাড়া নিয়েছি। দুজনে চায়ের কাপ হাতে কবিতা পড়ে শোনাচ্ছি। একটা করে কবিতার পরে এক দফা বৃষ্টি স্নান...
স্বপ্ন আরো লম্বা হয়, বর্ষা পেড়িয়ে গরম আসে। দেখি ছাতি ফাটা গরমে তোমার রক্ত বর্ণ মুখ। তোমার অসুস্থতায় কোন এক সরকারি হাসপাতালের মেঝেতে বসে আছি, ইতি উতি করে একজন ডাক্তার খুজঁছি। অন্যদের মত না হতে পারা, আমার অক্ষমতাকে বুঝতে পারছি। জ্ঞাতসারে কাউকে কষ্টদেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই ছিপ হয়ে কাউকে ডাঙ্গায় তুলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছটফট করতে দেখাও অসম্ভব।
নতুন করে স্বপ্ন দেখতে বসি। এবারো আমি কোন এক চিলেকোঠার টিনের ছোট্ট একটা ঘরে। তবে, এবার আমি একা। একা একাই চা খাচ্চি, বৃষ্টির শব্দ শুনছি.... ঝমঝম... কেন বেঁচে আছি?
একটা বুড়ো গ্রামোফোন যার বাজনা কখনো থামে না
একটা জোকার যার মুখে দেবড়ে গেছে হাসি
একটা হেরে যাওয়া সৈন্যের দল যারা হার মেনে নেয় না
আমি তাদের মতো করে তোমাকে ভালোবেসেছি
একটা রাজপুত্তুর যার মুকুট হারিয়ে গেছে
একটা বৃষ্টিতে ভেজা প্রথম প্রেমের চিঠি
একটা বদ্ধ মাতাল যে বাড়ি ফিরে যাবেই
আমি তাদের মতো করে তোমাকে ভালোবেসেছি
শুধু পারিনি বোঝাতে এসব কথার মানে
শুধু দেখে গেছি তোমার দু:খ আর ভয়
যদি ভগবান বেঁচে থাকে কোথাও কোন খানে
ভগবান জানে এটা শুধু গান নয়
- মে ১৮, ২০২১
No comments:
Post a Comment